June 2016

Our Shahrasti - আমাদের শাহরাস্তি - এর 

 সকল ব্লগার, মডারেটর এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জানাই ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা। 
**************************** ঈদ মোবারক ***************************
**************************** ঈদ মোবারক ***************************
**************************** ঈদ মোবারক ***************************

প্রতিটি বছরই এই দিনটি আমাদের জন্য খুশীর বারতা নিয়ে হাজির হয়। লাখ লাখ মানুষ নানান ঝুকি নিয়েও ছুটে গেছেন প্রিয়জনদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে। প্রিয়জনদের কাছে পেলে, আর তাদের হাতে যখন তাদের জন্য কেনা উপহার খানা তুলে দেয়া হয়, তখন আমরা আমাদের পথ ভ্রমণের সেই কষ্টটুকু ভুলে যাই। আমাদের মনটা ভরে উঠে বাধনহারা আনন্দে যখন আমাদের প্রিয়জনরা আমাদের কেনা উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। 

যেসব ব্লগার ভাইরা প্রবাসে ঈদ করছেন তাদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। প্রিয়জনদের ছাড়া ঈদ পালন করারা সত্যিই কষ্টকর। আপনাদের জন্য আমার শুভ কামনা রইল। আল্লাহপাক আপনাদের তওফিক দান করুক যাতে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করে খুব শীঘ্রই দেশে ফিরে আসতে পারেন এবং পরবর্তী ঈদ প্রিয়জনদের নিয়ে করতে সমর্থ হন। 

যাই হোক, যে যেখানে যে অবস্থাতেই আছেন আপনাদের ঈদ খুব ভাল কাটুক। ঈদ উল ফিতর আপনাদের জন্য বয়ে আনুক অনাবিল সুখ এবং শান্তি। সেই প্রত্যাশাই করছি।

ঈদকে সামনে রেখে শাহরাস্তিতে সক্রিয় চোরা কারবারীরা, রেলপথে প্রতিনিয়ত আসছে মাদক-মসলাসহ অবৈধ মালামাল। ভারতীয় মালামালের ব্যবসার সাথে জড়িত শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি সিন্ডিকেট।
ঈদকে সামনে রেখে শাহরাস্তি উপজেলায় চোরা কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। অবৈধভাবে আসা ভারতীয় মালামালের ব্যবসার সাথে জড়িত শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি সিন্ডিকেট, বিশেষ করে ট্রেন ও বাস যোগে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা এসব মালামাল অত্র উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
অবৈধ ব্যবসার সাথে পশ্চিম উপলতা সূয়াপাড়া , কালিয়াপাড়া ও মেহের স্টেশন এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
বছরের পর বছর ধরে তারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত একথা সবার সামনে স্বীকারও করেন। বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
১৫ জুন পৌনে ২ টায় কুমিল্লা থেকে আসা ডেমু ট্রেনের ওপর কিছুটা নজর রেখে দেখা যায়, ট্রেনটি মেহের স্টেশনে এসে পৌঁছলে পেছনের বগি থেকে একে একে ৬ টি বস্তা নামানো হয়। অবৈধ পণ্য ট্রেন থেকে নামিয়ে দিতে সহযোগিতা করছেন জিআরপির এক সদস্য এসময় সাংবাদিক দেখে তিনি মুখ লুকিয়ে ভিতরে ঢুকে যান। প্লাটফর্মে অপেক্ষমান ৫/৬ যুবক বস্তা গুলো ধরে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সি এনজিতে উঠিয়ে দিচ্ছেন ।
এ সময় তাদের সাথে একজন মহিলা সদস্যও ছিলো। এ মহিলা কুমিল্লার শশীদল থেকে মাল গুলো নিয়ে আসছেন। সাংবাদিকরা ছবি তোলার এক প্রর্যায়ে মৃত দাইমুদ্দিনের পুত্র চোরা কারবারী সুজরুত আলী ওরফে সুরা এগিয়ে এসে ছবি তুলতে বাধা দেন এবং বলেন ছবি তুলে কি হবে কোন সমস্যা নাই।
আসেন আপনাদের সাথে কথা বলি। একপর্যায়ে সুরা সাংবাদিকদের অর্থ দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন, সাংবাদিকগণ তার প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় তিনি বলেন, আমি কয়েক যুগধরে ব্যবসা করে আসছি সাংবাদিক পুলিশ সবাই সুবিধা পায় আপনারা কিছু টাকা নিয়ে যান, প্রতিমাসে আইসেন আরো টাকা দিবো।
তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় এসে উপস্থিত হন সুরার ছেলে মেহের রেলগেট এলাকার ফল ব্যবসায়ী শাহজাহান সাজু ।
সে জানায়, ‘আপনারা ভেজাল বাড়িয়ে লাভ নেই। ব্যবসা কেউ বন্ধ করতে পারবেনা, আমার বাবা বহু বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে আমরা এটা করেই খাই। অনেক প্রভাবশালী নেতা, কতিপয় সাংবাদিক , পুলিশ, টাকা নেয় আপনারা আর কি করবেন?’
চোরা কারবারীদের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েক স্তরের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা । ঈদ মৌসুম সামনে রেখে প্রতিদিনই আসে পণ্য।
অনেকেই জানান, তার এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক দিক ম্যানেজ করেন বাবুল ওরফে পাঠা বাবুল । ভারতীয় পণ্য মেহের স্টেশনে নামার পর এগুলো উপজেলা বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়, অনেকেই জানান বর্তমানে জিরা, গোলমরিচ, এলাচি, শাড়ি, থ্রিপিচ বেশি আসছে, এ ছাড়া এ পথে মাদকদ্রব্য ও কুমিল্লার সিমান্ত হয়ে চলে আসছে।
জনসম্মুখে বুক ফুলিয়ে চোরাকারবারীদের এ ব্যবসা বহু দিনের । মাঝে মাঝে প্রশাসনের অভিযান থাকলেও মূলহোতারা নিরাপদেই থেকে যায়। যাত্রীরা এ দৃশ্য দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আর কোন কিছুরই উপায় থাকে না, স্থানীয় অনেক নেতাদের ভাগ ভাটোয়ারা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়।


শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউপি’র হোসেনপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি গত ৯ মে সকাল ৯ টায় ঐ গ্রামের মুন্সিগাজী তালুকদার বাড়িতে ঘটে। আহতরা হল সুমন (২৮) আনোয়ার হোসেন (৩৫) মোঃ আলী আব্বাস(৪০) ও জয়নব বেগম (৫৫)। আহতদের শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ,প্রতিপক্ষ ইউনুছ গংয়ের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় সুমনের সাথে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে মৃত সোলাইমানের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৩৫) বালতি ভর্তি গরম পানি সুমনের শরীরে ঢেলে দেয় ও তার পকেটে রক্ষিত ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় । এতে তার শরীরের বাম অংশ ঝলশে যায় । তার আর্ত চিৎকারে আনোয়ার, আলী আব্বাস ও জয়নব বেগম ছুটে আসলে ইউনুছ পিতা মৃত শামছুল হক , মজিবুর রহমান (৪০),মোঃ আকতার হোসন (২৬) পিতাঃ মৃত সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুর রব (৬০) পিতা  মৃতঃ নেয়াজ উদ্দিন , শামছুনন্নাহার পিতাঃ মৃত আব্দুল ওহাব একযোগে তাদের উপর হামলা করে। এসময় আনোয়ার হোসেনের মাথা ফেঠে যায় , ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয় আলী আব্বাসকে, জয়নব বেগমকে মারধর ও তার পরিধেয় কাপড় ছিড়েঁ ফেলা হয়। এ ঘটনায় শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার নং-০৬ তারিখ ১০/০৫/১৬ ।