2016
চাঁদপুর ও কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকার চিতোষী ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাস ও চিতোষী বাজারের প্রধান সড়কে বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঘন্টাব্যাপি ওই কর্মসূচিতে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনের সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চিতোষী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হানিফ।
বক্তব্য রাখেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহিম, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ফখরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা ছোটন চন্দ্র ভৌমিক, আবু নাঈমসহ কলেজের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ‘শাহরাস্তি তথা চাঁদপুর জেলার অন্যতম বেসরকারি কলেজ চিতোষী ডিগ্রি কলেজ। পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার অনেক ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়াশোনা করে। এ কলেজটি সরকারিকরণ করা অত্যন্ত জরুরি। এটি সরকারিকরণ করা হলে হাজার হাজার গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনা আরো সহজতর হবে।’
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত চিতোষী ডিগ্রি কলেজ উপজেলার একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজ। প্রতিষ্ঠার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে কলেজটি শিক্ষা কার্যক্রম ও ফলাফলের দিক থেকে জেলার শীর্ষস্থানে আসীন হয়েছে। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ছাড়াও বিএ, বিএসএস, বিকম, বিএসসি এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখায় ৪টি ট্রেড কোর্স চালু রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘২০০৩ ও ২০০৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে কুমিল্লা বোর্ডের সেরা দশ-এ স্থান পেয়েছে। সবদিক বিবেচনায় এটি সরকারিকরণের যোগ্যতা ও ন্যায্য দাবি রাখে। কলেজটি সরকারিকরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’
এতদিন পর গত ১৪ জুলাই চাঁদুপর সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর সড়কটি মেরামতের কাজ করতে দেখা গেছে। চাঁদপুর থেকে আসা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের একটি ট্রাক দোয়াভাঙ্গা, উপলতা ও ঠাকুর বাজার এলাকায় মেরামত কাজে নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে।
এব্যাপারে কর্তব্যরত শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো সুদত্তর দিতে পারেনি। তবে ঠাকুর বাজার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত করলেও আজ পর্যন্ত বাকী অংশ সড়কের মেরামত কাজ করতে দেখা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টি কমলে বাকি অংশের কাজ করা হবে।
দেখতে দেখতে একটি বরকতময় মাসের পরিসমাপ্তি হতে যাচ্ছে। বলতে গেলে চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল মাহে রমজানের ৩০টি দিন। আমাদের মধ্যে যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তওফিক দান করেছিলেন তারা সবগুলি রোজা রাখতে সমর্থ হয়েছিলাম, আর যাদের আল্লাহ পাক তওফিক দেননি তাদের জন্য আমরা সকলেই দোয়া করবো যাতে করে সে আগামী রমজান মাসে আল্লাহপাকের সুদৃষ্টি লাভ করতে সমর্থ হন এবং সবগুলি রোজা রাখতে পারেন। যেহেতু আগামীকাল শওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি তাই আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত যে আজ আকাশে শাওয়ালে চাঁদ উঠবে এবং আমরা আগামীকাল পবিত্র ঈদ উল ফিতর পালন করব। তাই আমার পক্ষ থেকে
Our Shahrasti - আমাদের শাহরাস্তি - এর
সকল ব্লগার, মডারেটর এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জানাই ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা।**************************** ঈদ মোবারক ***************************
**************************** ঈদ মোবারক ***************************
**************************** ঈদ মোবারক ***************************
প্রতিটি বছরই এই দিনটি আমাদের জন্য খুশীর বারতা নিয়ে হাজির হয়। লাখ লাখ মানুষ নানান ঝুকি নিয়েও ছুটে গেছেন প্রিয়জনদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে। প্রিয়জনদের কাছে পেলে, আর তাদের হাতে যখন তাদের জন্য কেনা উপহার খানা তুলে দেয়া হয়, তখন আমরা আমাদের পথ ভ্রমণের সেই কষ্টটুকু ভুলে যাই। আমাদের মনটা ভরে উঠে বাধনহারা আনন্দে যখন আমাদের প্রিয়জনরা আমাদের কেনা উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়।
যেসব ব্লগার ভাইরা প্রবাসে ঈদ করছেন তাদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। প্রিয়জনদের ছাড়া ঈদ পালন করারা সত্যিই কষ্টকর। আপনাদের জন্য আমার শুভ কামনা রইল। আল্লাহপাক আপনাদের তওফিক দান করুক যাতে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করে খুব শীঘ্রই দেশে ফিরে আসতে পারেন এবং পরবর্তী ঈদ প্রিয়জনদের নিয়ে করতে সমর্থ হন।
যাই হোক, যে যেখানে যে অবস্থাতেই আছেন আপনাদের ঈদ খুব ভাল কাটুক। ঈদ উল ফিতর আপনাদের জন্য বয়ে আনুক অনাবিল সুখ এবং শান্তি। সেই প্রত্যাশাই করছি। আর যেতে যেতে আপনাদের জন্য জাতীয় কবির সেই গানটি রেখে যাচ্ছি।
***************************** বিঃ দ্রঃ ***********************************
একটি মানবিক কারনে সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি। মহান আল্লাহপাকের কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া যে তিনি আমাদেরকে গরীব অসহায় করে পৃথিবীতে পাঠান নাই। আমরা অনেকেই হয়তো গরীব অসহায়দের থেকে অনেক অনেক ভাল অবস্থায় এবারের ঈদ করব। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তারা আমাদের মত এতো আনন্দ ভোগ করতে পারবেনা। কিন্তু আমরা যদি তাদের দিকে একটু খেয়াল করি তাহলে হয়তো তাদের ঈদটি একটু হলেও আনন্দে কাটবে। তাই আপনাদের সকলকেই অনুরোধ করবো যদি সম্ভব হয় আপনার আশেপাশের গরীব অসহায়দের দিকে একটু খেয়াল করবেন। বছরের একটি দিন যেন তারা আপনার উছিলায় নিজেদের সুথি হাবার সুযোগ লাভ করতে পারে। আপনার পুরাতন পোশাকটিও হতে পারে তাদের ঈদের নতুন পোশাক।
শাহরাস্তি ইয়ুথ ক্লাবের উদ্যোগে হতদরিদ্রের মাঝে সেমাই চিনি বিতরণ করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় শাহরাস্তি ইয়ুথ ক্লাবের প্রধান কার্যালয়ে এ সেমাই চিনি বিতরণ করা হয়। শাহরাস্তি ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ শুভর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র ও ইয়ুথ ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা হাজী আব্দুল লতিফ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ক্লাবের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন আলম, ছালে আহম্মদ জাহিদ, মাহবুব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিন, জয়, অর্থ সম্পাদক শরীফ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বাপ্পী, দপ্তর সম্পাদক শামীম, ক্রীড়া সম্পাদক সুমন, সদস্য ইব্রাহিম, পৌরশাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন। ফাউন্ডেশন সূত্রে জানায়, এ বছর ২ শত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এ সেমাই চিনি বিতরণ করা হয়।
Our Shahrasti - আমাদের শাহরাস্তি - এর
সকল ব্লগার, মডারেটর এবং দেশের সর্বস্তরের মানুষকে জানাই ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা।**************************** ঈদ মোবারক ***************************
**************************** ঈদ মোবারক ***************************
**************************** ঈদ মোবারক ***************************
প্রতিটি বছরই এই দিনটি আমাদের জন্য খুশীর বারতা নিয়ে হাজির হয়। লাখ লাখ মানুষ নানান ঝুকি নিয়েও ছুটে গেছেন প্রিয়জনদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করতে। প্রিয়জনদের কাছে পেলে, আর তাদের হাতে যখন তাদের জন্য কেনা উপহার খানা তুলে দেয়া হয়, তখন আমরা আমাদের পথ ভ্রমণের সেই কষ্টটুকু ভুলে যাই। আমাদের মনটা ভরে উঠে বাধনহারা আনন্দে যখন আমাদের প্রিয়জনরা আমাদের কেনা উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়।
যেসব ব্লগার ভাইরা প্রবাসে ঈদ করছেন তাদের জন্য আমার সমবেদনা রইল। প্রিয়জনদের ছাড়া ঈদ পালন করারা সত্যিই কষ্টকর। আপনাদের জন্য আমার শুভ কামনা রইল। আল্লাহপাক আপনাদের তওফিক দান করুক যাতে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করে খুব শীঘ্রই দেশে ফিরে আসতে পারেন এবং পরবর্তী ঈদ প্রিয়জনদের নিয়ে করতে সমর্থ হন।
যাই হোক, যে যেখানে যে অবস্থাতেই আছেন আপনাদের ঈদ খুব ভাল কাটুক। ঈদ উল ফিতর আপনাদের জন্য বয়ে আনুক অনাবিল সুখ এবং শান্তি। সেই প্রত্যাশাই করছি।
ঈদকে সামনে রেখে শাহরাস্তিতে সক্রিয় চোরা কারবারীরা, রেলপথে প্রতিনিয়ত আসছে মাদক-মসলাসহ অবৈধ মালামাল। ভারতীয় মালামালের ব্যবসার সাথে জড়িত শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি সিন্ডিকেট।
ঈদকে সামনে রেখে শাহরাস্তি উপজেলায় চোরা কারবারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। অবৈধভাবে আসা ভারতীয় মালামালের ব্যবসার সাথে জড়িত শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি সিন্ডিকেট, বিশেষ করে ট্রেন ও বাস যোগে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আসা এসব মালামাল অত্র উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
অবৈধ ব্যবসার সাথে পশ্চিম উপলতা সূয়াপাড়া , কালিয়াপাড়া ও মেহের স্টেশন এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
বছরের পর বছর ধরে তারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত একথা সবার সামনে স্বীকারও করেন। বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসলে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
১৫ জুন পৌনে ২ টায় কুমিল্লা থেকে আসা ডেমু ট্রেনের ওপর কিছুটা নজর রেখে দেখা যায়, ট্রেনটি মেহের স্টেশনে এসে পৌঁছলে পেছনের বগি থেকে একে একে ৬ টি বস্তা নামানো হয়। অবৈধ পণ্য ট্রেন থেকে নামিয়ে দিতে সহযোগিতা করছেন জিআরপির এক সদস্য এসময় সাংবাদিক দেখে তিনি মুখ লুকিয়ে ভিতরে ঢুকে যান। প্লাটফর্মে অপেক্ষমান ৫/৬ যুবক বস্তা গুলো ধরে গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সি এনজিতে উঠিয়ে দিচ্ছেন ।
এ সময় তাদের সাথে একজন মহিলা সদস্যও ছিলো। এ মহিলা কুমিল্লার শশীদল থেকে মাল গুলো নিয়ে আসছেন। সাংবাদিকরা ছবি তোলার এক প্রর্যায়ে মৃত দাইমুদ্দিনের পুত্র চোরা কারবারী সুজরুত আলী ওরফে সুরা এগিয়ে এসে ছবি তুলতে বাধা দেন এবং বলেন ছবি তুলে কি হবে কোন সমস্যা নাই।
আসেন আপনাদের সাথে কথা বলি। একপর্যায়ে সুরা সাংবাদিকদের অর্থ দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন, সাংবাদিকগণ তার প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় তিনি বলেন, আমি কয়েক যুগধরে ব্যবসা করে আসছি সাংবাদিক পুলিশ সবাই সুবিধা পায় আপনারা কিছু টাকা নিয়ে যান, প্রতিমাসে আইসেন আরো টাকা দিবো।
তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় এসে উপস্থিত হন সুরার ছেলে মেহের রেলগেট এলাকার ফল ব্যবসায়ী শাহজাহান সাজু ।
সে জানায়, ‘আপনারা ভেজাল বাড়িয়ে লাভ নেই। ব্যবসা কেউ বন্ধ করতে পারবেনা, আমার বাবা বহু বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে আমরা এটা করেই খাই। অনেক প্রভাবশালী নেতা, কতিপয় সাংবাদিক , পুলিশ, টাকা নেয় আপনারা আর কি করবেন?’
চোরা কারবারীদের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কয়েক স্তরের নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা । ঈদ মৌসুম সামনে রেখে প্রতিদিনই আসে পণ্য।
অনেকেই জানান, তার এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনিক দিক ম্যানেজ করেন বাবুল ওরফে পাঠা বাবুল । ভারতীয় পণ্য মেহের স্টেশনে নামার পর এগুলো উপজেলা বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়া হয়, অনেকেই জানান বর্তমানে জিরা, গোলমরিচ, এলাচি, শাড়ি, থ্রিপিচ বেশি আসছে, এ ছাড়া এ পথে মাদকদ্রব্য ও কুমিল্লার সিমান্ত হয়ে চলে আসছে।
জনসম্মুখে বুক ফুলিয়ে চোরাকারবারীদের এ ব্যবসা বহু দিনের । মাঝে মাঝে প্রশাসনের অভিযান থাকলেও মূলহোতারা নিরাপদেই থেকে যায়। যাত্রীরা এ দৃশ্য দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আর কোন কিছুরই উপায় থাকে না, স্থানীয় অনেক নেতাদের ভাগ ভাটোয়ারা দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়।
শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউপি’র হোসেনপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি গত ৯ মে সকাল ৯ টায় ঐ গ্রামের মুন্সিগাজী তালুকদার বাড়িতে ঘটে। আহতরা হল সুমন (২৮) আনোয়ার হোসেন (৩৫) মোঃ আলী আব্বাস(৪০) ও জয়নব বেগম (৫৫)। আহতদের শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণে আহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ,প্রতিপক্ষ ইউনুছ গংয়ের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার সময় সুমনের সাথে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে মৃত সোলাইমানের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৩৫) বালতি ভর্তি গরম পানি সুমনের শরীরে ঢেলে দেয় ও তার পকেটে রক্ষিত ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় । এতে তার শরীরের বাম অংশ ঝলশে যায় । তার আর্ত চিৎকারে আনোয়ার, আলী আব্বাস ও জয়নব বেগম ছুটে আসলে ইউনুছ পিতা মৃত শামছুল হক , মজিবুর রহমান (৪০),মোঃ আকতার হোসন (২৬) পিতাঃ মৃত সিদ্দিকুর রহমান, আব্দুর রব (৬০) পিতা মৃতঃ নেয়াজ উদ্দিন , শামছুনন্নাহার পিতাঃ মৃত আব্দুল ওহাব একযোগে তাদের উপর হামলা করে। এসময় আনোয়ার হোসেনের মাথা ফেঠে যায় , ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয় আলী আব্বাসকে, জয়নব বেগমকে মারধর ও তার পরিধেয় কাপড় ছিড়েঁ ফেলা হয়। এ ঘটনায় শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার নং-০৬ তারিখ ১০/০৫/১৬ ।
শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরসাক পূর্বপাড়া মাঠে জন্ম নেয়া একটি বট গাছকে ঘিরে ধর্ম ব্যবসা ও প্রতারণার ডাল-পালা গজিয়েছে। কথিত মসজিদ, মাদ্রাসা, অসহায় প্রতিবন্ধী আশ্রম ও এতিমখানা কমপ্লেক্সের নামে সরকারের প্রায় ১৮ শতাংশ জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ওই বট গাছকে অলৌকিক আখ্যা দিয়ে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কুচক্রী মহল।
জানা যায়, ওই মাঠের ফসলী জমির মাঝখানে একটি বট গাছকে ঘিরে সরকারের ২০ শতাংশ খাস জমি রয়েছে। রোদ-খরা ও বর্ষায় কৃষকগণ একটু প্রশান্তির আশায় ওই গাছের ছায়াতলে বসতো। এলাকাবাসী জানায়, ৬/৭ বছর আগে শোরসাক গ্রামের জুনাব আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন বট গাছে অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে মর্মে দাবি করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও গাছকে ঘিরে ওয়াজ মাহফিল শুরু করে। এ স্থানে হাফেজিয়া মাদ্রাসা, জামে মসজিদ, এতিমখানা, দুঃস্থ-অসহায় প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে দাবি করে দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, মোটর শ্রমিক এমনকি নিন্মবিত্তের কাছ থেকে মোটা অংকের দান-অনুদান গ্রহণ করে। এছাড়াও রয়েছে ছোট-বড় দান বাক্সের বহর।
স্থানীয়রা জানায়, কোনমতে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়া স্বল্প শিক্ষিত যুবক তার রসালো-রসনায় প্রথমে বীমা পেশা হতে শুরু করে বিভিন্ন এনজিও ও সমবায় সমিতির মাধ্যমে এলাকা হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময়কার আলোচিত জুয়াড়ি জসিম জুয়া খেলায় সর্বস্ব খুইয়ে দিশেহারা হয়ে কখনো চায়ের দোকান আবার কখনো ভাতের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখা গেছে। সবশেষে পোষাক পাল্টিয়ে দাড়ি-টুপি ধারণ করে বট গাছ হতে বের হওয়া শিকল জড়িয়ে ধরে সাধারণ থেকে বনে যায় ফকির আস্তানার মোতাওয়াল্লি ওরফে শিকল হুজুর। তাছাড়াও জসিম উদ্দিনের অর্থ কেলেঙ্কারীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তারা।
সরেজমিনে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় আলোচিত ফকির আস্তানায় গেলে ওই স্থানে দরজা বন্ধ একটি টিনের দোচালা ঘর যা জামে মসজিদ নামে পরিচিত। পাশেই একটি একচালা যা কাগুজে কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্ষার শুরু হতে সপ্তাহে একদিন জুমা’র নামাজ ছাড়া আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়না। স্বল্প সময়ের জন্য চালুকৃত মক্তবটি (মসজিদের ভিতর) বন্ধ হয়ে গেছে ৩/৪ মাস আগে।
বিভিন্ন দান-অনুদানের এতো টাকা পয়সা কোথায় যায়, জানতে চাইলে আস্তানার পরিচালনা কমিটির সদস্য পরিচয়দানকারী মোঃ আবু হানিফ জানায়, মসজিদ তৈরিতে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। মাদ্রাসা ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩১ হাজার টাকা। এছাড়া ৬০ হাজার টাকা আস্তানার নামে করা ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, জসিম উদ্দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উত্তোলিত টাকাগুলো রাতের পর রাত জুয়া খেলে নষ্ট করেছে। যে কারণে তার ধার দেনা পরিশোধের লক্ষ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা চলছে।
আস্তানার খাদেম হাফেজ মোঃ রেহান উদ্দিন জানান, এখানে কোনো পরিচালনা কমিটি নেই। জসিম উদ্দিন একাই এই কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারী, ক্যাশিয়ারসহ সকল পদধারী। মাহফিলের সময় বিভিন্ন ধরণের লোকদের আনা-গোনা ও বিভিন্ন টাইপের লোকদের দিয়ে মাহফিল চালানো হয়। মাদ্রাসা ঘর নির্মাণে আমি নিজে ৩১ হাজার টাকা ধার করেছি যা আজো পরিশোধ করা হয়নি। আস্তানার নামে ব্যাংকে কোনো টাকা গচ্ছিত নেই। মাহফিলের নামে ৪/৫ ধরনের লিফলেট তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন লোকদের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সাজিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন। বট গাছের অলৌকিক শিকল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, এক সময় বট গাছের সাথে মুরুব্বিরা শিকল দিয়ে হারিকেন বেঁধে রাখতো, কালক্রমে গাছের বেড় বৃদ্ধি পেয়ে ওই শিকলটি গাছের ভিতর আটকে গেছে।
এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন ওরফে শিকল হুজুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে উল্লেখিত স্থানে কোনো এতিমখানা, অসহায় প্রতিবন্ধী আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রম নেই বলে জানা যায়।
জানা যায়, ওই মাঠের ফসলী জমির মাঝখানে একটি বট গাছকে ঘিরে সরকারের ২০ শতাংশ খাস জমি রয়েছে। রোদ-খরা ও বর্ষায় কৃষকগণ একটু প্রশান্তির আশায় ওই গাছের ছায়াতলে বসতো। এলাকাবাসী জানায়, ৬/৭ বছর আগে শোরসাক গ্রামের জুনাব আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন বট গাছে অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে মর্মে দাবি করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও গাছকে ঘিরে ওয়াজ মাহফিল শুরু করে। এ স্থানে হাফেজিয়া মাদ্রাসা, জামে মসজিদ, এতিমখানা, দুঃস্থ-অসহায় প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে দাবি করে দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, মোটর শ্রমিক এমনকি নিন্মবিত্তের কাছ থেকে মোটা অংকের দান-অনুদান গ্রহণ করে। এছাড়াও রয়েছে ছোট-বড় দান বাক্সের বহর।
স্থানীয়রা জানায়, কোনমতে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়া স্বল্প শিক্ষিত যুবক তার রসালো-রসনায় প্রথমে বীমা পেশা হতে শুরু করে বিভিন্ন এনজিও ও সমবায় সমিতির মাধ্যমে এলাকা হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময়কার আলোচিত জুয়াড়ি জসিম জুয়া খেলায় সর্বস্ব খুইয়ে দিশেহারা হয়ে কখনো চায়ের দোকান আবার কখনো ভাতের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখা গেছে। সবশেষে পোষাক পাল্টিয়ে দাড়ি-টুপি ধারণ করে বট গাছ হতে বের হওয়া শিকল জড়িয়ে ধরে সাধারণ থেকে বনে যায় ফকির আস্তানার মোতাওয়াল্লি ওরফে শিকল হুজুর। তাছাড়াও জসিম উদ্দিনের অর্থ কেলেঙ্কারীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তারা।
সরেজমিনে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় আলোচিত ফকির আস্তানায় গেলে ওই স্থানে দরজা বন্ধ একটি টিনের দোচালা ঘর যা জামে মসজিদ নামে পরিচিত। পাশেই একটি একচালা যা কাগুজে কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্ষার শুরু হতে সপ্তাহে একদিন জুমা’র নামাজ ছাড়া আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়না। স্বল্প সময়ের জন্য চালুকৃত মক্তবটি (মসজিদের ভিতর) বন্ধ হয়ে গেছে ৩/৪ মাস আগে।
বিভিন্ন দান-অনুদানের এতো টাকা পয়সা কোথায় যায়, জানতে চাইলে আস্তানার পরিচালনা কমিটির সদস্য পরিচয়দানকারী মোঃ আবু হানিফ জানায়, মসজিদ তৈরিতে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। মাদ্রাসা ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩১ হাজার টাকা। এছাড়া ৬০ হাজার টাকা আস্তানার নামে করা ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, জসিম উদ্দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উত্তোলিত টাকাগুলো রাতের পর রাত জুয়া খেলে নষ্ট করেছে। যে কারণে তার ধার দেনা পরিশোধের লক্ষ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা চলছে।
আস্তানার খাদেম হাফেজ মোঃ রেহান উদ্দিন জানান, এখানে কোনো পরিচালনা কমিটি নেই। জসিম উদ্দিন একাই এই কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারী, ক্যাশিয়ারসহ সকল পদধারী। মাহফিলের সময় বিভিন্ন ধরণের লোকদের আনা-গোনা ও বিভিন্ন টাইপের লোকদের দিয়ে মাহফিল চালানো হয়। মাদ্রাসা ঘর নির্মাণে আমি নিজে ৩১ হাজার টাকা ধার করেছি যা আজো পরিশোধ করা হয়নি। আস্তানার নামে ব্যাংকে কোনো টাকা গচ্ছিত নেই। মাহফিলের নামে ৪/৫ ধরনের লিফলেট তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন লোকদের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সাজিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন। বট গাছের অলৌকিক শিকল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, এক সময় বট গাছের সাথে মুরুব্বিরা শিকল দিয়ে হারিকেন বেঁধে রাখতো, কালক্রমে গাছের বেড় বৃদ্ধি পেয়ে ওই শিকলটি গাছের ভিতর আটকে গেছে।
এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন ওরফে শিকল হুজুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে উল্লেখিত স্থানে কোনো এতিমখানা, অসহায় প্রতিবন্ধী আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রম নেই বলে জানা যায়।
চাঁদপুরের কচুয়ায় সোমবার (১৬ মে) বিকেলে অজ্ঞাত পরিচয় অর্ধগলিত ও বিবস্ত্র এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল কচুয়া -কালিয়াপাড়া সড়কের উচিৎগাবা এলাকার গাজী বাড়ী সংলগ্ন এক ব্রিজ এর নিচে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায় প্রায় ৪০ বছর বয়সী এ অজ্ঞাতনামা পুরুষের অর্ধ গলিত লাশ ।এলাকাবাসী যানায়, কয়েক দিন ধরে ব্রিজ এর পাশে থেকে পোঁচা গন্ধ আসছিল। তারপর এলাকাবাসী ব্রীজের নীচে বস্তা দেখতে পেয়ে কচুয়া থানার পুলিশকে খবর দেয় ।
খবর পেয়ে কচুয়া থানার এসআই মোঃ ওয়াজেদ আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করেন এবং সুরুতাহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশটি কচুয়া থানায় নিয়ে আসে।
ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক ৬/৭দিন পূর্বে কে বা কাহারা তাকে হত্যা করে ওই ব্রীজের নিচে ফেলে চলে যায়। এ ব্যাপারে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ আবদুর রব মোল্লা (৬২) বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় তাঁর নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না….রাজিউন)। শুক্রবার জানাযা শেষে তাকে পরিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি , স্ত্রী , ২ মেয়ে , ২ ছেলে সহ আত্মীয় স্বজন অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় নাওড়া ঈদগা মাঠে নামাজের জানাজা শেষে তাঁর লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
সাংবাদিক মো. মাহবুব আলমের উপস্থাপনায় জানাজা পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন , শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওঃ আবুল হোসাইন, ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. দেলোয়ার হোসেন, আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাও. শাহ জাহান, মরহুমের বড় মেয়ের জামাতা মো. শরিফুল ইসলাম।
মুসল্লিগণের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, শাহরাস্তি পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মোস্তফা কামাল, ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওঃ তৈয়বুল ইসলাম পাটওয়ারী, শিক্ষক, ছাত্র , মরহুমের নিকট আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নামাজের জানাযায় ইমামতি করেন ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা মোঃ কামাল উদ্দিন আব্বাসী।
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪৭।
এবার ঢাকা, কুমিল্লা ও যশোর বোর্ডে ৩টি করে, রাজশাহী, বরিশাল ও দিনাজপুর বোর্ডে ২টি করে এবং সিলেট বোর্ডের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে।
বুধবার দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারাদেশে ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। কেন সব শিক্ষার্থী ফেল করল তা বিশ্লেষণ করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
এবার ২৮ হাজার ১৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৩৪টি স্কুল ও মাদ্রাসায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৫ হাজার ৯৫টি।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন।
গতকাল ১১ মে বেলা ৩ টায় শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানদের সাথে মত বিনিময় করেন, জেলা প্রসাশক আব্দুস সবুর মন্ডল । এসময় তিনি শিক্ষকদের উদ্দ্যেশে বলেন , বাচ্চাদের ভালো মন্দের দায় দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে। আপনারা কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।আপনারা অসম্মান যাতে না হন সে ব্যবস্থা করবেন। আমরা দেখতে চাই কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা । কাজের অগ্রগতির বিবরণ দিতে হবে।৫০ ভাগ জিপিএ-৫ পেতে হবে। ২২ জুনের মধ্যে শতভাগ কাব দল গঠন করতে হবে।
শাহরাস্তি ভালো উপজেলা , শিক্ষার হার ও ভালো ,আমি বিশ্বাস করি আপনারা ভালো করবেন। কর্ম পরিকল্পনায় ভালো শিক্ষকদের পুরস্কৃত করা হবে। এ পুরস্কার পদন্নতির জন্য ভূমিকা রাখবে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহেলা বেগমের সভাপতিত্বে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোহাম্মদ আব্দুল হাই ,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল মাসুদ,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ জেসমিন আকতার বানু । অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শাহরাসিত প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী হুমায়ন কবির, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা খাজা মাঈনুদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রব , সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এস.এস.সি পরিক্ষায় কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থী ভাই বোনদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।তোমাদের আগামীর পথচলা আরো সুন্দর হোক , কাঙ্খিত লক্ষে এগিয়ে যাবে দৃড় প্রত্যয়ী হয়ে এই দোয়া রইল ।
আর যারা অকৃতকার্য হয়েছো তারা হতাশ না হয়ে নতুন উদ্যোমে আবারো পথচলা শুরু করো কারন সফলতা তোমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ।
যেমনটি কবি বলেছেনঃ “মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়
আড়ালে তাহার সূর্য হাঁসে”যেমনটি কবি বলেছেনঃ “মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়
শাহরাস্তি উপজেলার হাইড়েরপাড় গ্রামে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নানামুখী গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। কোনো প্রকার আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই গোপন সমঝোতায় লাশ দাফন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১০ মে গভীর রাতে ঐ গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ হোসাইন (২৬) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরদিন সকালে বাড়ির লোকজন বাড়ির পেছনে থাকা কড়ই গাছের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তারপর ঘটে নানা ঘটনা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাস পূর্বে মোহাম্মদ হোসাইনের সাথে শাহরাস্তি পৌর এলাকার কাজিরকাপ গ্রামের ছফিউল্লার মেয়ে রিনা আক্তারের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে মোহাম্মদ হোসাইন তার স্ত্রীকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের অল্প ক' দিনের বিবাহিত জীবন ছিল লোক দেখানো। রিনার পরিবার জানায়, হোসাইন পরকীয়া প্রেম করার কারণে স্ত্রীকে মেনে নেয়নি। তাদের বিয়ের সময় কাবিননামায় দেনমোহরানা নির্ধারণ করা হয় দেড় লাখ টাকা। এরপর গত কিছু দিন পূর্বে হোসাইন ও রিনার পরিবার পক্ষ উক্ত বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশ্যে বসেন। এতে শোরসাক এলাকায় ক'জন সালিসের উপস্থিতিতে একপর্যায়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ জন্যে ৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা দেয়ার জন্যে মোহাম্মদ হোসাইনের উপর রায় দেয়া হয় । আগামী ১৫ মে উক্ত টাকা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উক্ত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে মোহাম্মদ হোসাইন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এদিকে হোসাইনের মৃতদেহ রেখে সালিস ও পরিবারের সদস্যরা হোসাইনের শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করে। এক পর্যায়ে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের মধ্যে আপোষ হয়। হোসাইনের পিতা মিজানুর রহমানের নিকট এত টাকা না থাকায় তাৎক্ষণিক শোরসাক বাজারে অবস্থিত ডায়মন্ড ঋণদান সমিতি থেকে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে রিনার পরিবারকে প্রদান করে। অপরদিকে এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি প্রদান করেন। হোসাইনের ভাবী মনি বেগম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হোসাইনের স্ত্রী রিনা ভালো মেয়ে, আমরা তাকে রাখতে চেয়েছি। কিন্তু হোসাইন মেনে নিতে পারছিলো না। যেহেতু হোসাইন মারা গেছে তাই তাদের দাবি পূরণ করা হয়েছে।
হোসাইনের মা রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের দেখে বলেন, আমরাতো গতকাল পুলিশকে টাকা দিয়েছি, আপনারা কেন এসেছেন? এ ব্যাপারে সালিস সালেহ আহমেদ, মনির হোসেন ও তৈয়ব আলী তালুকদার জানান, তারা দু'পক্ষের মাঝে সমাধানের চেষ্টা করছিলো। ৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা নির্ধারণ করার পেছনে কী যুক্তি ছিল সে সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে এত বড় টাকার অংক নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে হোসাইনের পক্ষে এ টাকা যোগাড় করা সম্ভব না হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, হোসাইন মৃত্যুর আগে চিরকুট রেখে গেছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে হোসাইনের শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে রিনার জেঠা মেহার দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোঃ আবু তাহের প্রকাশ ভোলা চকিদার ২ লাখ টাকা নির্ধারণের কথা স্বীকার করেন। টাকা গ্রহণের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তবে রিনার সাথে যাওয়া নিকটাত্মীয় শাহরাস্তি পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ছকিনা বেগম টাকা গ্রহণের বিষয়টি সাংবাদিকদের মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।
শাহরাস্তিতে এবারের দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ২০ টি মাদ্রাসা থেকে ৬ শত ৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে ৫ শত ৫৭ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ৯০ জন শিক্ষার্থী । পাশের হার শতকরা ৮৬.০৯ ভাগ। এ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী ।
রাগৈ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। এছাড়া আহম্মদ নগর আব্দুল আজিজ আলিম মাদ্রাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। সর্বাধিক জিপিএ-৫ পেয়েছে কাকৈরতলা গোলাম কিবরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ শিক্ষার্থী । এছাড়া শাহরাস্তি চিশতীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ২ জন, রাগৈ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ১ জন, গাউছিয়া হাশেমিয়া সেকান্দর আলী সুন্নিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন,ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন ও সিরাজ উদ্দিন মহিলা মাদ্রাসা থেকে ১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
রাগৈ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। এছাড়া আহম্মদ নগর আব্দুল আজিজ আলিম মাদ্রাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। সর্বাধিক জিপিএ-৫ পেয়েছে কাকৈরতলা গোলাম কিবরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ শিক্ষার্থী । এছাড়া শাহরাস্তি চিশতীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ২ জন, রাগৈ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ১ জন, গাউছিয়া হাশেমিয়া সেকান্দর আলী সুন্নিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন,ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন ও সিরাজ উদ্দিন মহিলা মাদ্রাসা থেকে ১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
শাহরাস্তিতে এবারের এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার সন্তোষজনক হয়েছে। উপজেলা ৩২ টি উচ্চ বিদ্যালয় হতে মোট ২ হাজার ৬ শত ২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২ হাজার ৩ শত ৭৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এতে ২শত ৫০ জন অকৃতকার্য হয়েছে।পাশের হার শতকরা ৮৮.৬১ ভাগ। পরীক্ষায় মোট ৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। উপজেলা দেবকরা মারগুবা ডক্টর শহীদ উল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলে কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার শতভাগ। সর্বাধিক সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।এছাড়া চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন,দক্ষিণ সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন, রাগৈ উচ্চ বিদ্যালয়েল৭জন, শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন ও নিজ মেহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
মাজার
কলেজের তালিকা
ক্রমিক নং | নাম | প্রতিষ্ঠাকাল | মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা | প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ | অবস্থান |
---|---|---|---|---|---|
1 | করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ | 456 | লায়লা আর্জুমান্দ বানু। | শাহরাস্তি উপজেলা | |
2 | চিতোষী ডিগ্রী কলেজ | ০১-০৭-১৯৮৭ইং | 456 | াকদকতচাদািটপ্ | |
3 | মেহের ডিগ্রী কলেজ | 663 | াু্িু্িবদাু্তিাু্ি | শাহরাস্তি উপজেলা | |
4 | সূচীপাড়া ডিগ্রি কলেজ | ১৯৮৭খ্রীঃ | 658 | grfg |
Subscribe to:
Posts (Atom)