শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের খেড়িহর গ্রামের তেলিয়া বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া ৩ সন্তানের জননী রুমু বেগমের লাশ গতকাল সোমবার দাফন করা হয়েছে। গত ৭ মে দুপুরে রুমু বেগমকে খুন করে লাশ বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়। ঘটনার পর থেকে রুমু বেগমের স্বামী পলাতক রয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ৭ মে বেলা দেড়টায় রুমু বেগমের কন্যা মারজান (৪) তার মায়ের মৃতদেহ সেফটিক ট্র্যাংকের ভেতরে দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার করে। এরপর বাড়ির লোকজন এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরদিন ৮ মে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে গতকাল তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার পর থেকে রুমু বেগমের স্বামী জামাল হোসেন পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রুমু বেগমকে মেরে লাশ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে। এ হত্যার জন্যে রুমুর স্বামীকে দায়ী করেছে পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে রুমু বেগমের ভাই মিন্টু বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তার স্বামী জামাল হোসেন পলাতক রয়েছে I
Post A Comment:
0 comments: