May 2016
শাহরাস্তি উপজেলার সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শোরসাক পূর্বপাড়া মাঠে জন্ম নেয়া একটি বট গাছকে ঘিরে ধর্ম ব্যবসা ও প্রতারণার ডাল-পালা গজিয়েছে। কথিত মসজিদ, মাদ্রাসা, অসহায় প্রতিবন্ধী আশ্রম ও এতিমখানা কমপ্লেক্সের নামে সরকারের প্রায় ১৮ শতাংশ জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ওই বট গাছকে অলৌকিক আখ্যা দিয়ে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কুচক্রী মহল।

    জানা যায়, ওই মাঠের ফসলী জমির মাঝখানে একটি বট গাছকে ঘিরে সরকারের ২০ শতাংশ খাস জমি রয়েছে। রোদ-খরা ও বর্ষায় কৃষকগণ একটু প্রশান্তির আশায় ওই গাছের ছায়াতলে বসতো। এলাকাবাসী জানায়, ৬/৭ বছর আগে শোরসাক গ্রামের জুনাব আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন বট গাছে অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে মর্মে দাবি করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও গাছকে ঘিরে ওয়াজ মাহফিল শুরু করে। এ স্থানে হাফেজিয়া মাদ্রাসা, জামে মসজিদ, এতিমখানা, দুঃস্থ-অসহায় প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধাশ্রম রয়েছে দাবি করে দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, মোটর শ্রমিক এমনকি নিন্মবিত্তের কাছ থেকে মোটা অংকের দান-অনুদান গ্রহণ করে। এছাড়াও রয়েছে ছোট-বড় দান বাক্সের বহর।
    স্থানীয়রা জানায়, কোনমতে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হওয়া স্বল্প শিক্ষিত যুবক তার রসালো-রসনায় প্রথমে বীমা পেশা হতে শুরু করে বিভিন্ন এনজিও ও সমবায় সমিতির মাধ্যমে এলাকা হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক সময়কার আলোচিত জুয়াড়ি জসিম জুয়া খেলায় সর্বস্ব খুইয়ে দিশেহারা হয়ে কখনো চায়ের দোকান আবার কখনো ভাতের দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে দেখা গেছে। সবশেষে পোষাক পাল্টিয়ে দাড়ি-টুপি ধারণ করে বট গাছ হতে বের হওয়া শিকল জড়িয়ে ধরে সাধারণ থেকে বনে যায় ফকির আস্তানার মোতাওয়াল্লি ওরফে শিকল হুজুর। তাছাড়াও জসিম উদ্দিনের অর্থ কেলেঙ্কারীর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তারা।
    সরেজমিনে গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় আলোচিত ফকির আস্তানায় গেলে ওই স্থানে দরজা বন্ধ একটি টিনের দোচালা ঘর যা জামে মসজিদ নামে পরিচিত। পাশেই একটি একচালা যা কাগুজে কমপ্লেক্স হিসেবে পরিচিত। স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্ষার শুরু হতে সপ্তাহে একদিন জুমা’র নামাজ ছাড়া আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা হয়না। স্বল্প সময়ের জন্য চালুকৃত মক্তবটি (মসজিদের ভিতর) বন্ধ হয়ে গেছে ৩/৪ মাস আগে।
    বিভিন্ন দান-অনুদানের এতো টাকা পয়সা কোথায় যায়, জানতে চাইলে আস্তানার পরিচালনা কমিটির সদস্য পরিচয়দানকারী মোঃ আবু হানিফ জানায়, মসজিদ তৈরিতে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে। মাদ্রাসা ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ৩১ হাজার টাকা। এছাড়া ৬০ হাজার টাকা আস্তানার নামে করা ব্যাংক এ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, জসিম উদ্দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে উত্তোলিত টাকাগুলো রাতের পর রাত জুয়া খেলে নষ্ট করেছে। যে কারণে তার ধার দেনা পরিশোধের লক্ষ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা চলছে।
    আস্তানার খাদেম হাফেজ মোঃ রেহান উদ্দিন জানান, এখানে কোনো পরিচালনা কমিটি নেই। জসিম উদ্দিন একাই এই কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারী, ক্যাশিয়ারসহ সকল পদধারী। মাহফিলের সময় বিভিন্ন ধরণের লোকদের আনা-গোনা ও বিভিন্ন টাইপের লোকদের দিয়ে মাহফিল চালানো হয়। মাদ্রাসা ঘর নির্মাণে আমি নিজে ৩১ হাজার টাকা ধার করেছি যা আজো পরিশোধ করা হয়নি। আস্তানার নামে ব্যাংকে কোনো টাকা গচ্ছিত নেই। মাহফিলের নামে ৪/৫ ধরনের লিফলেট তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন লোকদের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি সাজিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন। বট গাছের অলৌকিক শিকল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, এক সময় বট গাছের সাথে মুরুব্বিরা শিকল দিয়ে হারিকেন বেঁধে রাখতো, কালক্রমে গাছের বেড় বৃদ্ধি পেয়ে ওই শিকলটি গাছের ভিতর আটকে গেছে।
    এ ব্যাপারে জসিম উদ্দিন ওরফে শিকল হুজুরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
    এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে উল্লেখিত স্থানে কোনো এতিমখানা, অসহায় প্রতিবন্ধী আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রম নেই বলে জানা যায়।


চাঁদপুরের কচুয়ায় সোমবার (১৬ মে) বিকেলে অজ্ঞাত পরিচয় অর্ধগলিত ও বিবস্ত্র এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল কচুয়া -কালিয়াপাড়া সড়কের উচিৎগাবা এলাকার গাজী বাড়ী সংলগ্ন এক ব্রিজ এর নিচে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়  প্রায় ৪০ বছর বয়সী এ অজ্ঞাতনামা পুরুষের অর্ধ গলিত লাশ 
এলাকাবাসী যানায়, কয়েক দিন ধরে ব্রিজ এর পাশে থেকে পোঁচা গন্ধ আসছিল। তারপর এলাকাবাসী ব্রীজের নীচে বস্তা দেখতে পেয়ে  কচুয়া থানার পুলিশকে খবর দেয় ।
খবর পেয়ে কচুয়া থানার এসআই মোঃ ওয়াজেদ আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করেন এবং সুরুতাহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশটি কচুয়া থানায় নিয়ে আসে।
ধারণা করা হচ্ছে, আনুমানিক ৬/৭দিন পূর্বে কে বা কাহারা তাকে হত্যা করে ওই ব্রীজের নিচে ফেলে চলে যায়। এ ব্যাপারে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন সহকারী শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ আবদুর রব মোল্লা (৬২) বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় তাঁর নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না….রাজিউন)। শুক্রবার জানাযা শেষে তাকে পরিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি , স্ত্রী , ২ মেয়ে , ২ ছেলে সহ আত্মীয় স্বজন অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় নাওড়া ঈদগা মাঠে নামাজের জানাজা শেষে তাঁর লাশ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
সাংবাদিক মো. মাহবুব আলমের উপস্থাপনায় জানাজা পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন , শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওঃ আবুল হোসাইন, ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. দেলোয়ার হোসেন, আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাও. শাহ জাহান, মরহুমের বড় মেয়ের জামাতা মো. শরিফুল ইসলাম।
মুসল্লিগণের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, শাহরাস্তি পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ মোস্তফা কামাল, ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওঃ তৈয়বুল ইসলাম পাটওয়ারী, শিক্ষক, ছাত্র , মরহুমের নিকট আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
নামাজের জানাযায় ইমামতি করেন ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা মোঃ কামাল উদ্দিন আব্বাসী।


মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় সারাদেশে ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪৭।
এবার ঢাকা, কুমিল্লা ও যশোর বোর্ডে ৩টি করে, রাজশাহী, বরিশাল ও দিনাজপুর বোর্ডে ২টি করে এবং সিলেট বোর্ডের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডের ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল করেছে।
বুধবার দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সারাদেশে ৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। কেন সব শিক্ষার্থী ফেল করল তা বিশ্লেষণ করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
এবার ২৮ হাজার ১৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৩৪টি স্কুল ও মাদ্রাসায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। গত বছর শতভাগ পাসের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৫ হাজার ৯৫টি।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন।

গতকাল ১১ মে বেলা ৩ টায় শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানদের সাথে মত বিনিময় করেন, জেলা প্রসাশক আব্দুস সবুর মন্ডল । এসময় তিনি শিক্ষকদের উদ্দ্যেশে বলেন , বাচ্চাদের ভালো মন্দের দায় দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে। আপনারা কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।আপনারা অসম্মান যাতে না হন সে ব্যবস্থা করবেন। আমরা দেখতে চাই কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা । কাজের অগ্রগতির বিবরণ দিতে হবে।৫০ ভাগ জিপিএ-৫ পেতে হবে। ২২ জুনের মধ্যে শতভাগ কাব দল গঠন করতে হবে।
শাহরাস্তি ভালো উপজেলা , শিক্ষার হার ও ভালো ,আমি বিশ্বাস করি আপনারা ভালো করবেন। কর্ম পরিকল্পনায় ভালো শিক্ষকদের পুরস্কৃত করা হবে। এ পুরস্কার পদন্নতির জন্য ভূমিকা রাখবে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাহেলা বেগমের সভাপতিত্বে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)মোহাম্মদ আব্দুল হাই ,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল মাসুদ,জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান,সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ জেসমিন আকতার বানু । অন্যানের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শাহরাসিত প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী হুমায়ন কবির, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা খাজা মাঈনুদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রব , সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এস.এস.সি পরিক্ষায় কৃতকার্য সকল শিক্ষার্থী ভাই বোনদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।তোমাদের আগামীর পথচলা আরো সুন্দর হোক , কাঙ্খিত লক্ষে এগিয়ে যাবে দৃড় প্রত্যয়ী হয়ে এই দোয়া রইল ।
আর যারা অকৃতকার্য হয়েছো তারা হতাশ না হয়ে নতুন উদ্যোমে আবারো পথচলা শুরু করো কারন সফলতা তোমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ।
যেমনটি কবি বলেছেনঃ  “মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়
                                      আড়ালে তাহার সূর্য হাঁসে”


শাহরাস্তি উপজেলার হাইড়েরপাড় গ্রামে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নানামুখী গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। কোনো প্রকার আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করেই গোপন সমঝোতায় লাশ দাফন করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ১০ মে গভীর রাতে ঐ গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ হোসাইন (২৬) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরদিন সকালে বাড়ির লোকজন বাড়ির পেছনে থাকা কড়ই গাছের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তারপর ঘটে নানা ঘটনা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মাস পূর্বে মোহাম্মদ হোসাইনের সাথে শাহরাস্তি পৌর এলাকার কাজিরকাপ গ্রামের ছফিউল্লার মেয়ে রিনা আক্তারের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকে মোহাম্মদ হোসাইন তার স্ত্রীকে মেনে নিতে পারেনি। তাদের অল্প ক' দিনের বিবাহিত জীবন ছিল লোক দেখানো। রিনার পরিবার জানায়, হোসাইন পরকীয়া প্রেম করার কারণে স্ত্রীকে মেনে নেয়নি। তাদের বিয়ের সময় কাবিননামায় দেনমোহরানা নির্ধারণ করা হয় দেড় লাখ টাকা। এরপর গত কিছু দিন পূর্বে হোসাইন ও রিনার পরিবার পক্ষ উক্ত বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশ্যে বসেন। এতে শোরসাক এলাকায় ক'জন সালিসের উপস্থিতিতে একপর্যায়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ জন্যে ৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা দেয়ার জন্যে মোহাম্মদ হোসাইনের উপর রায় দেয়া হয় । আগামী ১৫ মে উক্ত টাকা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উক্ত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে মোহাম্মদ হোসাইন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এদিকে হোসাইনের মৃতদেহ রেখে সালিস ও পরিবারের সদস্যরা হোসাইনের শ্বশুর বাড়ির লোকদের সাথে দফায় দফায় সমঝোতা বৈঠক করে। এক পর্যায়ে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের মধ্যে আপোষ হয়। হোসাইনের পিতা মিজানুর রহমানের নিকট এত টাকা না থাকায় তাৎক্ষণিক শোরসাক বাজারে অবস্থিত ডায়মন্ড ঋণদান সমিতি থেকে ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে রিনার পরিবারকে প্রদান করে। অপরদিকে এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনের অনুমতি প্রদান করেন। হোসাইনের ভাবী মনি বেগম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হোসাইনের স্ত্রী রিনা ভালো মেয়ে, আমরা তাকে রাখতে চেয়েছি। কিন্তু হোসাইন মেনে নিতে পারছিলো না। যেহেতু হোসাইন মারা গেছে তাই তাদের দাবি পূরণ করা হয়েছে।
হোসাইনের মা রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের দেখে বলেন, আমরাতো গতকাল পুলিশকে টাকা দিয়েছি, আপনারা কেন এসেছেন? এ ব্যাপারে সালিস সালেহ আহমেদ, মনির হোসেন ও তৈয়ব আলী তালুকদার জানান, তারা দু'পক্ষের মাঝে সমাধানের চেষ্টা করছিলো। ৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা নির্ধারণ করার পেছনে কী যুক্তি ছিল সে সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে এত বড় টাকার অংক নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে হোসাইনের পক্ষে এ টাকা যোগাড় করা সম্ভব না হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, হোসাইন মৃত্যুর আগে চিরকুট রেখে গেছে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে হোসাইনের শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে রিনার জেঠা মেহার দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোঃ আবু তাহের প্রকাশ ভোলা চকিদার ২ লাখ টাকা নির্ধারণের কথা স্বীকার করেন। টাকা গ্রহণের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। তবে রিনার সাথে যাওয়া নিকটাত্মীয় শাহরাস্তি পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর ছকিনা বেগম টাকা গ্রহণের বিষয়টি সাংবাদিকদের মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।

শাহরাস্তিতে এবারের দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ২০ টি মাদ্রাসা থেকে ৬ শত ৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এতে ৫ শত ৫৭ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। অকৃতকার্য হয়েছে ৯০ জন শিক্ষার্থী । পাশের হার শতকরা ৮৬.০৯ ভাগ। এ পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী ।
 রাগৈ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। এছাড়া আহম্মদ নগর আব্দুল আজিজ আলিম মাদ্রাসা থেকে ২১ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। সর্বাধিক জিপিএ-৫ পেয়েছে কাকৈরতলা গোলাম কিবরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩ শিক্ষার্থী । এছাড়া শাহরাস্তি চিশতীয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ২ জন, রাগৈ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ১ জন, গাউছিয়া হাশেমিয়া সেকান্দর আলী সুন্নিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন,ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন ও সিরাজ উদ্দিন মহিলা মাদ্রাসা থেকে ১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শাহরাস্তিতে এবারের এসএসসি পরীক্ষার পাশের হার সন্তোষজনক হয়েছে। উপজেলা ৩২ টি উচ্চ বিদ্যালয় হতে মোট ২ হাজার ৬ শত ২৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২ হাজার ৩ শত ৭৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। এতে ২শত ৫০ জন অকৃতকার্য হয়েছে।পাশের হার শতকরা ৮৮.৬১ ভাগ। পরীক্ষায় মোট ৬৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। উপজেলা দেবকরা মারগুবা ডক্টর শহীদ উল্লাহ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৫৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলে কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার শতভাগ। সর্বাধিক সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।এছাড়া  চেড়িয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন,দক্ষিণ সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ জন, রাগৈ উচ্চ বিদ্যালয়েল৭জন, শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন ও নিজ মেহার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫জন  শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
no image
no image


শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের খেড়িহর গ্রামের তেলিয়া বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া ৩ সন্তানের জননী রুমু বেগমের লাশ গতকাল সোমবার দাফন করা হয়েছে। গত ৭ মে দুপুরে রুমু বেগমকে খুন করে লাশ বাড়ির সেফটিক ট্যাংকে ফেলে দেয়া হয়। ঘটনার পর থেকে রুমু বেগমের স্বামী পলাতক রয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ৭ মে বেলা দেড়টায় রুমু বেগমের কন্যা মারজান (৪) তার মায়ের মৃতদেহ সেফটিক ট্র্যাংকের ভেতরে দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার করে। এরপর বাড়ির লোকজন এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরদিন ৮ মে পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে গতকাল তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার পর থেকে রুমু বেগমের স্বামী জামাল হোসেন পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রুমু বেগমকে মেরে লাশ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়েছে। এ হত্যার জন্যে রুমুর স্বামীকে দায়ী করেছে পরিবারের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে রুমু বেগমের ভাই মিন্টু বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহরাস্তি থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কামাল উদ্দিন জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তার স্বামী জামাল হোসেন পলাতক রয়েছে I

খেলাধুলা ও বিনোদন



শাহরাস্তি উপজেলার মানুষের প্রিয় খেলা হচ্ছে হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট,ক্রিকেট,ফুটবল।এর মধ্যে ছেলে বুড়ো সবার প্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল।তাছাড়া  সারা বছর ধরে  কোন না কোন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা  লেগেই থাকে।  দেশীয় খেলা হা-ডু-ডু, গোল্লাছুট, কানামাছি ভোঁ ভোঁ, দাড়িয়াবান্ধার পাশাপাশি জনপ্রিয় খেলার মধ্যে বর্তমানে ক্রিকেট ও ফুটবলের আধিপত্য দেখা যায়।

নদ-নদী

শাহরাস্তির উল্লেখযোগ্য নদী ডাকাতিয়া।শাহরাস্তি উপজেলা টি ডাকাতিয়া নদীর মাধ্যমে দ্বিখন্ডিত হয়েছে। ডাকাতিয়ার উৎপত্তি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ী এলাকায়।ডাকাতিয়ার  দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার. ১২২ মিটার। এটি ভারতের ত্রিপুরা থেকে উৎপত্তি হয়ে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা হয়ে শাহরাস্তির উপর দিয়ে চাঁদপুরে পদ্মা ও মেঘনার মোহনায় গিয়ে মিশেছে। এক সময় এ নদীই ছিল শাহরাস্তি উপজেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। বর্তমানেও সীমিত আকারে ডাকাতিয়া নদীর মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে মালামাল পার করা হয়। । বর্তমানে এই ডাকাতিয়া নদীর পানি দ্বারা কৃষি কাজ করা হয়।  এই নদীতে অনেক মাছ পাওয়া যায়।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

সড়ক পথে- ঢাকা-চট্রগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক পথে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড হয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর রোডের শাহরাস্তি গেইট(দোয়াভাঙ্গা) নেমে যেকোন গাড়ী দিয়ে ৩ কিঃমিঃ দক্ষিণ দিকে আসলে শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ।

নদী পথে-  ডাকাতিয়া  নদী পথে চাঁদপুর হতে শাহরাস্তি উপজেলায় সহজে যাতায়াত  করা যায়।

রেল পথে- ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট হতে রেল পথে লাকসাম হয়ে মেহের রেল ষ্টেশনে নেমে শাহরাস্তি  উপজেলায় সহজে যাতায়াত  করা যায়।
চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায়

আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।



রোববার ভোরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান শাহরাস্তি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দিলদার হোসেন আজাদ।

নিহত জামাল হোসেনের (২৮) বাড়ি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের নিজ মেহার এলাকায়।
পুলিশ কর্মকর্তা দিলদার হোসেন আজাদ বলেন, শনিবার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলাকালে নাহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জামাল হোসেন গুরুতর আহত হন।

“তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
এ নিয়ে চতুর্থ দফা ভোটের সহিংসতায় সাত জন নিহত হল। এর মধ্যে নরসিংদীর রায়পুরা, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় ভোট চলার সময় একজন করে এবং গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভোট গণনার সময় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

আর রাজশাহীর বাগমারার সব ইউনিয়নে একদিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হলেও সেখানে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।




চাঁদপুর জেলাধীন শাহারাস্তিতে ভুয়া পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে আফলাতুন হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহরাস্তি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আকতার বানু ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
জানা যায়, গত সোমবার শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পএ পরীক্ষা চলা কালীন সময় আফলাতুন তার বন্ধু সাইফুল ইসলামের হয়ে ভুয়া এইচ এস সি পরীক্ষা দিতে গিয়ে আটক হয়। তাকে ভুয়া পরিক্ষাথী সন্দেহ হলে হল পরিদর্শক প্রভাষক আবদুল কাদের সংশিস্ট কর্তৃপরে মাধ্যমে আটক করে থানায় পাঠিয়ে দেয়। চিতোষী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষাথী সাইফুল ইসলামের রোল-নং৫৭০২৫৫,রেজি: ১০১১১৫৯৯৯৮।


শাহরাস্তিতে  স্বামীকে হত্যা করে সন্তানের সহযোগিতায় মাটি চাপা দিয়েছে পাষন্ড স্ত্রী। নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের নয়নপুর বেপারী বাড়ি প্রকাশ নতুন বাড়িতে। ওই ঘটনায়  শনিবার ১৬দিন পর স্ত্রীর স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশ্ববর্তি জমি থেকে গলিত লাশ উত্তোলন করে পুলিশ।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওই বাড়ির মৃত আঃ হাকিমের পুত্র মোঃ জামাল হোসেন (৪০) গত ১৪ এপ্রিল নিখোঁজ হয়েছে মর্মে তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম হ্যাপি (৩৫) গত ২৮ এপ্রিল বৃহস্প্রতিবার শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী নথিভূক্ত করেন। যার নং-১০৭৬। ডায়রী করার পর থানা পুলিশ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানের জন্য বিভিন্ন থানায় অবহিত করেন। পরে পুলিশের বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। অপরদিকে ফাতেমা বেগম ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তার এক নিকটাত্মীয় আমির হোসেনের স্বরণাপন্ন হয়। আমির হোসেন ফাতেমার সাথে কথা বলে কিছুটা অনুমান করতে পেরে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমানকে অবগত করেন। পরে শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা এলাকায় আমির হোসেন ফাতেমা বেগমকে কৌশলে ডেকে থানা হতে সাধারণ ডায়রী উত্তোলনের নাম করে অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের পরিচয় গোপন করে তার সাথে থানায় পাঠিয়ে দেন। এরপর অফিসার ইনচার্জ থানায় এনে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লাশ কিভাবে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে তার বিবরণ দেন। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মোঃ আবদুল মান্নান, মোঃ নিজাম উদ্দিন, সমীর মজুমদার ও মোঃ কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পশ্চিম পাশের জমি থেকে গর্ত খুঁড়ে গলিত লাশ উত্তোলন করেন। এ সংবাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে ভীড় জমায়।

এদিকে নিহতের ভাই আজাদ হোসেন জানান, আমার ভাই ১ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক। তিনি পারিবারিক ভাবে সুখেই ছিলেন। আমার ভাবির পরকীয়ার জেরে বিভিন্ন সময় ভাইয়ের সাথে বাকবিতন্ডা হতো। তার পরকীয়ার কারণেই আমার ভাই এ নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে।

এ বিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে ফাতেমা জানায় ঘটনার রাতে তার স্বামীর জন্ডিসের ঔষুধের সাথে ৮টি ঘুমের ঔষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। স্বামী গভীর ঘুমে থাকাবস্থায় বালিশ চাপা দিয়ে তাকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা তার ৯ম শ্রেণিতে পড়–য়া পুত্র জাহিদুল ইসলাম ফাহিমকে (১৩) ডেকে তোলে তার বাবা আত্মহত্যা করেছে বলে জানায়। দিনের বেলায় স্থানীয়দের বিষয়টি বিশ্বাস করাতে পারবে না বলে রাতেই বাড়ির পশ্চিম পাশের জমিতে মাটি চাপা দিবে বলে ছেলেকে রাজি করে। এরপর মা ও ছেলে দুজনে মিলে তার লাশ মাটি চাপা দেয়। এ ঘটনায় স্ত্রী ফাতেমা বেগম হ্যাপী ও ছেলে থানায় আটক রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।